অভিমন্যু ফয়েজী
আইজকার ঘটনা বিবরনী আমরার সমন্বয়ক আব্বাদের নিয়া। বাঙ্গালী বিচ্ছুরা সকল রথী মহারথীদের হিস্টরি জানতে চায়। সব্বাইর জীবন কাহিনী থেইকা হ্যারা শেখতে চায় কী, ক্যামন, ক্যামতে ঘটে, আর ক্যারাইবা এই তানের ঘটনা ঘটায়। এর লাইগ্যাই আমার আরেক বিচ্ছু ভাতিজা নুরা কইলো কাইল আমরার সমন্বয়ক আব্বাদের নিয়ে ল্যাখতে। এই তানও আমার বেরেইনের উপ্রে দিয়া যায়; হের পরেও ভাইব্বা দেখলাম, ভাতিজা বইলা কথা; হের রিকুয়িষ্ট ফিরাই ক্যামতে? তাই আবার কাগজ কলম লইয়া বইলাম।আমরার সমন্বয়করা আসলে আব্বাহুজুর টাইপের লোকজন। তাইনগো কথাবার্তা, ভাবভঙ্গী দেইখ্যা পাবলিক ডরে খালি কয়, আব্বাহুজুররা খুবওই মজবুত। বিচ্ছুগো মইধ্যে নুরার আবার গরম বেশী। হ্যাতে কয়, এইগুলা সব রাজাকার। আমি জিগাইলাম, ক্যান? নুরা কয়, আরে কাক্কু, হ্যারাইতো নিজেগোরে “রাজাকার” কইছে; “তুই রাজাকার, মুই রাজাকার” টাইপ শোলোগানতো হ্যারাই দিছে। আমি কই, তাইলে কি তাইনগো রাজাকার আব্বাহুজুর ডাকুম? নুরা কয়, অবশ্যই। নুরা আমারে কইলো, কাক্কু, এই কিসিমের সমন্বয়কগুলারে “রাজাকার আব্বাহুজুর” না ডাকলে আমার প্রাপ্য এক কাপ চা আর এক পিস্ সিঙ্গারার বরাদ্দ বাতিল কইরা দিবো। মনে হইলো, একেতো নুরার কথায় যুক্তি আছে, আর খামখা চা আর সিঙ্গারা মিস্ করার কাম কী? সমন্বয়ক ভাইস্তারা যেই হারে সামনে পিছে সমানে চা-সিঙ্গারার গুষ্ঠি উদ্ধার করতে আছে, আমি অভাইগ্যা আমার ভাগেরটা মিস্ করি ক্যান? অতঃপর সিদ্ধান্ত নিলাম, সমন্বয়ক ভাইস্তাগোরে গনতন্ত্রের স্বার্থে হ্যারার ঘোষিত “রাজাকার” নামেই ডাকুম; তয় আদর কইরা “আব্বাহুজুর”ও লগে রাখুম। একটা “আইডেন্টিটি”র ব্যপার আছেনা! একখন এই “রাজাকার” আইডেন্টিটি তারার নামের লগে বসাইয়া না দিলে পরে আবার ক্যাডা হাইজ্যাক করে কে জানে? বাংলাদেশে সবওই সম্ভব। দ্যাশে অহন তাইনগো সম্মান ব্যাকতের উপ্রে; কাজেই এ্যামতেই তাইনরা “রাজাকার আব্বাহুজুর” হওয়ার যোইগ্যতা রাখেন।
তয় আমার রাজাকার আব্বাহুজুরদের কাম কাইজ পুরান রাজাকারদের চাইয়া অনেক সলিড; অনেক বেশী মজবুত। তাইনরা কাম করেন অনেক তা বড় তা বড় মানুষদেরে লগে লইয়া। তাইনগো হিসাব সোজা; কামের বিনিময়ে খাইদ্য। “আন্দোলন কইরা দিমু, হাসিনারে ফালাইয়া দিমু, ইসলামী আইন চালু করবাম, কিন্তু আমরারে কী দিবাম হেইটা পরিস্কার করন লাগবো আগে”। নোবেল কাক্কু হ্যারারে কইছুইন, আন্দোলন সফল হইলে তারা মন্ত্রী হইবোন, আর তাইন হইবোন্ পরধান মন্ত্রী। ঠিক বাত হ্যায়! রাজাকারের এক জবান! “তুই রাজাকার, মুই রাজাকার, মোগো বাপ রাজাকার, কাক্কু রাজাকার”— এই শলোগানে আকাশ বাতাস কাঁপাইয়া হ্যারা মাডে নামছিল্। অনেকে আবার আরো বড় খেলা দিছেন; এক্কেরে হাসিনার দলের ভিত্রে ঢুইক্কা পুরাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক সাইজজা সময়মতন হাসিনারে কইছে, আফা, আপনে আগাইয়া যান, আমরাতো আছিই। এরার মইধ্যে একজন আবার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বিরাট এক ভাষন ছাইড়া শেখ হাসিনার চোখে জলের নহর বহাইয়া দিছিলো। হ্যাতে অখন কয়, এই দ্যাশে আওয়ামী মার্কা ধুলাবালিও নাকি থাকতে হারতোনা। তয় হ্যাতে ধরাও খাইছে একখান; হ্যাতে বুঝে নাই, নোবেল কাক্কু হেতারে এই জনমে উজির বানাইতোনা; হেতার জানা নাই, গায়ে একবার মুজিব কোট চাপাইলে তাইরে নোবেল কাক্কু আর একাত্তইরের রাজাকাররা বিশ্বাস করেনা, যদিও কাক্কু এই কিসিমের পাবলিকরে ব্যবহার করেন ভালোমতোনই।
আমি মনের কষ্টে ভাবি, আহারে সার্ভিস আব্বাহুজুর, তুই কবে আসল রাজাকারি শিখবি, বাপ? মুজিব কোট গায়ে চাপাইলি; বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বিরাট বক্তিমা দিলি; কইলি, ব্রিটেনের পরধান মন্ত্রী আর রানী তাইনদের প্রটোকল ভাইঙ্গা শ্যাখের ব্যাডারে নিতে গেছিল্ এয়ারপোর্টে একাইত্তর সালে; আরো কইলি, পৃথিবীর ইতিহাসে বিট্রেন দ্যাশের শাসকরা কুনোদিন এমন কাম করে নাই। তুই কি ভাবছস্ তোর এই লাহান কতা নোবেল আংকেল ভুইলা যাইবো? হেতেনের বুক ভরা হিংসা; তুই শ্যাখের ব্যাডারে এইরাম উডাইলে নোবেল কাক্কুরে কোলে নিবো ক্যাডা? তাইনতো তরার জাতির পিতা; এহন পর্যন্ত তাইনরে লইয়া কুনো কথা কইছস্? খালি সার্ভিস দিয়া গেলি বাপ; পুরাপুরি রাজাকারি শিখলিনা!
কত খেইল দেখাইলো আমরার নব্য রাজাকার আব্বাহুজুরেরা! পরথমে আমরারে কওয়া হইলো, নাহিদ তাইনগো মেইন নেতা; এরপর সিনে আইলেন আসিফ; তারপর সার্ভিস আর হাসনাত আব্বারেও পাওয়া গেলো জা’গা মতন; তিন চাইরজন মা-জননীও আইলেন সিনে। দেখা গেলো তাইনদের মইধ্যে অনেকেই আসলে আছলেন শিবিরের, কিন্তু ছাত্রলীগের ভিত্রে ঢুকছিলেন রং পাল্টাইয়া। এইরাম মডেল তাইনরাই বানাইছিলেন, নাকি ক্ষমতাবান অইন্য কোন শক্তিশালী গ্রহের জনগন তাঁদেরে এই কামে লাগাইছিলেন হেইটা বুঝার ক্ষ্যামতা আমারার নাই। তাইনরা ডিবি হারুনের ভাতের হোটেলে মোরগ পোলাও আর কাচ্চি খাইতে খাইতে আন্দোলন তুইলা লওনের ঘোষনা দিলেন; আসলে নাকি হারুনের উল্টাসিধা মাইরের ডরেই তাঁরা ঘোষনাটা দিছিলেন; কিন্তু বিচ্ছুরা কয়, এ্যারা আবার ক্যামন নেতা যে মাইরের ডরে সব উল্টাইয়া ফালায়; পরে আবার তারার সুবিধাবাদী গুরু আসিফ নজরুলের মতন হেইটাও পাল্টাইয়া ফালায়।
ক্ষ্যানতায় আইসসা নোবেল কাক্কু আরেক খেলা দেখাইলেন। কথার কথায় কওয়া শুরু করলেন, ছাত্ররাই তাইনের নিয়োগকর্তা; তারার কথাতেই সব কিছু হইবো। ভালা কথা; কিন্তুক ঘটনা দেখা গেলো একটু কেমন কেমন। মূল ক্যাবিনেটে তাইন দুই শিশুরে জা’গা দিলেন ছিকওই, কিন্তুক বাকী হগ্গলের বয়স সত্তইর পাঁচাইত্তরের উপরে; কাক্কুর নিজের কাগজ কলমের বয়স চুরাশি। তাইলে এই ক্যাবিনেটরে দিয়া আসল কাম কাজ কিছু হইবো? হিসাব মত, মাইনষের এইরাম কাজকর্মে সব চাইয়া ভালা সময় হইলো পন্চাশ থেইকা পঁয়ষট্টি। কেউ আবার রিগ্যান সাবের কতা কইয়েননা। তাইন একে ব্যতিক্রম, আর তাইনের লোকজন আছিল্ সব সবল; কাজেই হ্যারাই সব করতো। রিগ্যান কাক্কু খালি সই করতেন; হ্যাষের দিকে কিছু মনেও রাখতে পারতেননা; আর আমগো বাইডেন সাবের কতা নাই কইলাম; সবাই জানে। যাউক গা, যারে নিয়া আলাপ হের কতা কই।
আমরার নোবেল কাক্কু নিজে যেমন বিরাশি সিক্কার উপ্রে চুরাশি, তাইনের ক্যাবিনেটের বেশীর ভাগ পাবলিকও হেই কিসিমের। লম্বা লম্বা কতা কয়; কামের বেলায় নাই। দ্যাশটারে এক্কেরে ভাইঙ্গা চুইরা শ্যাষ; কিছু কইলেই কয়, সবই হাসিনা করছে; পাবলিক এইটাই বুঝেনা, সবই যদি হাসিনা করে, তয় তোরা কী করতে আছ, বাপ? এখন পর্যন্ত এমন কোন কিছু আমরার বিচ্ছুরা দেখে নাই যার কারনে এই নয়া জমানার পক্ষে খাড়ান যায়! জিনিসপত্রের দাম, নিরাপত্তা কোন কিছুই নোবেল কাক্কু আর তাইনের উজিররা ঠিক করতে পাপে নাই। অবস্থা আগের চাইয়াও খারাপ অখন।
বিচ্ছুদের মতে, নোবেল কাক্কু আমরার নব্য রাজাকার আব্বাহুজুরদের মহা এক বিপদে ফালাইছেন। তাইন দুইখান কথা কইছেন। যেমন ধরেন, আন্দোলন অনেক আগে থাইক্কাই প্যালেন করা; তাইলে কি শিবিররে ছাত্রলীগে ঢুকাইতে হইবো, আন্দোলনের পরথম দিন বঙ্গবন্ধুর ছবি লইয়া যাইতে হইবো য্যান স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনও মাঠে নামে, শ্যাখ হাসিনার কোন একটা কথারে ভুলভাবে বানাইয়া অইন্য দিকে নিতে হইবো য্যান ছাত্ররা ক্ষেইপা যায়, সময়মতন নিজেগো একাত্তইরের রাজাকার বানাইতে হইবো, স্বাধীনতার উল্টা শোলোগান দেয়া, লাশ ফেলা এমনভাবে য্যান সবগুলাই সরকারের কীর্তি মনে হয়, এইরাম শিবিরের লোকজনরে ৭.৬২ বুলেটের বন্দুক সাপ্লাই দেয়া, দরকারমতন পুলিশ বা সরকারের লোকজন মাইরা ঝুলাইয়া দেওন, এবং হাসিনার কীর্তির যেইগুলা সিগনেচার আইটেম কওন যায় হেইগুলারে ধ্বংস করা, এইরাম সব জিনিসই তাইলে প্যালেন করা। ছাত্ররাই তাইলে এই প্যালেনে অংশ নিছিল্? তারারে কারা আনছিল্? আসলে কোন্ পাবলিকরা এই গুলী চালানি আর মানুষ মারার কামে পুলিশের লগে প্রতিযোগীতায় নামছিলো? নোবেল কাক্কু যে কইলেন সব কিছুই প্যালেন করা, আর কইলেন আমরার মাহফুজ আব্বাহুজুর নাকি এই হক্কল কিছুর মাষ্টারমাইন্ড। তাইলে এই মাষ্টারমাইন্ডের কামকাইজ আবার সমন্বয় করলো কারা? ক্যামতে সব কিছু ঘটলো?
বিচ্ছুরা আমারে জিগাইলো, মাষ্টারমাইন্ড নব্য রাজাকার আব্বা হুজুর সমন্বয়কে কেরাম জনাব মাহফুজ সম্পর্কে আমি কী মনে করি। আমি মুখ্যুসুখ্যু মানুষ; তাইনরা অনেক বড় নেতা আর সমন্বয়ক; তাঁর উপ্রে নইব্য রাজাকার; তেনাদের জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেচনা বুঝা আমার কর্ম না। তবুও সাহস কইরা তাইনের একটা লেখা পড়ছিলাম। সইত্য কথা হইলো, আমি কিছুই বুঝি নাই; এইটা আমার বেরেনের সমিস্যা। তয় আমরার ইনভার্সিটিত পড়ার সময় এক মাহফুজের লাইনের প্রবেসরের লগে দেখা হইছিলো। তাইনের একটা বিশেষ স্বভাব ছিলো এমন যে, তাইন বিভিন্ন জায়গার কতকগুলা শব্দ শিখখা রাখছিলেন; পাবলিকের লগে কথা কওনের সময় এইগুলারে এক লগে ব্যবহার করতেন; ফলটা হইতো এই যে, আমরা তাইনের কথা কিছুই বুঝতামনা, কিন্তু ভাবতাম, তাইন একজন বিশাল জ্ঞানী। আমরার সময়ের বিচ্ছুগো মইধ্যে কেউ কেউ এই পীসরে “টাউট স্যার” ডাকতো। আপনেরা মাফ করবেন আমারে। মাহফুজের লেখা পইড়া আমার সেই “টাউট স্যারের” কথা মনে পড়ছিলো। মাহফুজ অবশ্যই টাউট না, কিন্তুক মনের উপ্রেতো আমার কন্ট্রোল করতে নাই; হ্যার লেখা পইড়া আমার টাউট স্যারের কথা মনে পডলো। তাইন এক লগে মার্কসবাদ, উত্তরাধুনিকতা, ইসলামিবাদ, হিন্দুত্ত্ববাদ, সাম্যবাদ, পুঁজিবাদ এই হকল শব্দ মিশাইয়া কী যে কইতে চাইলেন আমার গোবরে ভর্তি মাথায় তা ঢুকে নাই। তাই আমার বিচ্ছু ভাতিজাগোরে কইলাম, মাহফুজ আব্বাহুজুরের দোষ নাই; তাঁরে “টাউট” ডাকা ঠিকনা। তাইন ছাড়া কি বাংলাদ্যাশে আর কোন টাউট নাই? কাক্কুর্ও নাকি কিছু কিছু আবাল বিচ্ছু এইরাম টাইটেল দিবার চায়; হেগোরেও কইলাম, আরে ব্যাডা, নোবেল কাক্কু ছাড়া দ্যাশে কি আর টাউট নাই?
কাক্কু কিন্তুক নিজেরে ঠিকই সেইভ করছেন এইটা বইলা যে, তাইন ফোন কল পাওনের আগে কিছুই নাকি জানতেননা! বিচ্ছুরা কয়, তাইন এই প্যালেনের শুরু থাইক্কাই আছিলেন সবাইরে ঠকাইয়া যেই ট্যাকা বাঁচাইছিলেন সেই ট্যাকা বাঁচাইতে আর দ্যাশের মূল ক্ষমতার জাগাত যাইতে। এই লোভ তাইনের নতুন না; ২০০৭ সালেও শখ আছিল্ তাইনের, তয় সাইধ্যে কুলায় নাই। এইদিকে এইসব ঘটনার মূল কারিগরদের কাছে নোবেল কাক্কুর অনেক মূইল্য। কাজেই এরার সবাইর স্বার্থ এক জাগাত মিলছে। তয় বিচ্ছুগুলানের প্রশ্ন হইলো, নোবেল কাক্কু সবকিছু ছাত্রগো উপ্রে চাপাইয়া নিজে যে একখান নাদান আর বেকুব মানুষ আছলেন এই কতা পাগলেও বিশ্বাস করতোনা। কাক্কুর মেইন কাম তিনখানঃ নিজের ট্যাকা বাঁচানি, আওয়ামী লীগরে ধ্বংস কইরা একাত্তরের উল্টা ক্যাম্পের আদর্শ জাগা মতন বসাইয়া দেওন, আর একাইত্তরের স্বাধীনতা যে কিছুইনা হেইটা পরমান করা। তাইনের শ্যাষ লোভটা আছিল্ বঙ্গদ্যাশের উজিরে আলা হওন; হেইটা তাইন হইছেন; দোষটা দিছেন সমন্বয়ক নামের স্বাধীনতা বিরোধী পোলাপাইনের ওপর। এইভাবে দিন যাইবো? যারে মাষ্টারমাইন্ড কইছেন হেতারে পজিশন দিছেন মন্ত্রীর নীচে; ক্যান? যদি মাষ্টারমাইন্ডই অয় তয় তো হ্যার ব্যাকটের উপ্রে যাওনের কতা। নোবেল কাক্কু বড়ই সেয়ান; তয় সমিস্যা হইলো, তাইনের খোমা পাবলিক বুইঝ্ঝা ফালাইতাছে আস্তে আস্তে।
কীএক্টা অবস্থা। সমন্বয়ক নব্য রাজাকার আব্বাহুজুরেরা ক্ষমতায় আইসসা পয়সাকড়ি সরানি শুরু করছেন। বন্যার ত্রানের ট্যাকা নিজেরা গাপ করতে আছেন; কইলেন ট্যাকা নাকি ভবিষ্যতের জইন্য। এইটা কিছু হইলো? যখন দরকার তখন খরচের লাইগ্যাইতো মাইনষে পয়সা দিলো; আর আপনেরা হেই ট্যাকা রাইখ্যা দিলেন নিজেগো একাউন্টে। কারা এই সিদ্ধান্ত নিলো হেইটাও কইতে পাবলেননা। আর এই দূর্নীতি নিয়া ত্রান মন্ত্রনালয় বা আমরার নোবেল কাক্কু কিংবা দুদক কেউই মুখ খুললোনা। এই জিনিস ক্যামতে সম্ভব?
বিচ্ছুগো মতে, সংস্কারে নাইমা একটা বড় শক্তি যাগো প্রতিনিধি আমরার কাক্কু তিনি এই আব্বা হুজুরদের ব্যবহার করতে আছেন বাঙ্গালীর সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক ইতিহাসের উপ্রে রিসেট বাটনে চাপ দিয়া। এইটা করতে যাইয়া তাইন এই নব্য রাজাকার আব্বা হুজুরদের সাহায্যে একখান কাম খুবওই মনোযোগ দিয়া করতে আছেন; সেইটা হইলো আওয়ামী লীগ ধ্বংস। আওয়ামী লীগ থাকলে বাংলাদেশের ইতিহাস মুছন যাইবোনা; আওয়ামী লীগ থাকলে বঙ্গবন্ধু বাঁইচা থাকবেন; আওয়ামী লীগ থাকলে বাঙ্গালীর সংস্কৃতি ধ্বংস হইবোনা; আওয়ামী লীগ থাকলে একাইত্তরের রাজাকারগোরে ক্ষমতায় আনন যাইতোনা; কাজেই সব কামের মূল কাম আওয়ামী লীগ ধ্বংস করা। প্রত্যেক দিন আওয়ামী লীগের ভালো, খারাপ, ভদ্র, অভদ্র নেতা কর্মীদের ধইরা ধইরা জেলে পুরতে আছেন; আওয়ামী লীগের সময় বড় বড় পজিশনে থাকা সৎ সরকারী কর্মকর্তাদের চাকরী খাইবার লাগছেন। আওয়ামী লীগ নাই; তাইলে সিন্ডিকেটও নাই; তবুও বাজারের হাল হকিকৎ খুবই খারাপ। ক্যান? কারা এহন বাজার নিয়ন্ত্রন করে?
আমরার এই নব্য রাজাকার সমন্বয়ক আব্বাহুজুররা কিন্তুক একেকটা ফ্রাঙ্কেষ্টাইন; সব ফ্রাঙ্কেষ্টাইন একদিন কিন্তু কাক্কু আপনেরে খাইয়া ফ্যালবে। কথা খান মনে রাইখেন; খালি কংস হইয়া যেইখানে পাওন যায় সেইখানেই আওয়ামী আর স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ কতল করার পরিনতি ভালো না, কাক্কু। পাকিস্তানীরা একাইত্তরে চেষ্টা নিছিল্; লাভলহয় নাই; হ্যারার রিসেট বাটন কই যে গেলো গিয়া; সব ফাইল বাঙ্গালী ঠিক উদ্ধার করছিলো। আর আপনেতো কোন ছার; মনে রাইখেন, ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন আর দুই লাখ জননীর সম্ভ্রমহানি খুব সোজা জিনিস না, কাক্কু। ফ্র্যাঙ্কেনষ্টাইন এক সময় আপনেরেই খাইয়া ফ্যালবে। এইটাই প্রকৃতির নিয়ম; কথায় আছে না, “তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে”! কাজেই সাধু সাবধান।