নাজনীন নীহা : পবিত্র ঈদুল আজহার পর গত মাসের শেষের দিকে কাজে ফিরেছি। আরও আগেই শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু জুলাইয়ের শুরু থেকেই দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কাজটি পিছিয়ে যায়। সরকার পতনের পর প্রথম নাটকের শুটিং শুরু করেছি। এটি মিজানুর রহমান আরিয়ান ভাইয়ের একটি কাজ। গত ২২ আগস্ট থেকে তিন দিন শুটিং হয়েছে। কিছু প্যাচওয়ার্ক বাকি ছিল, সেটি আজ (শুক্রবার) করতে যাচ্ছি। তবে কাজটি সম্পর্কে এখনই বিস্তারিত বলা মানা আছে।
নাজনীন নীহা :খুবই ভালো। তাঁর সঙ্গে আমার তৃতীয় কাজ এটি। তিনি তো নতুন শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করেন। আমি নতুন, এই নাটকে আমার বিপরীতে যিনি কাজ করছেন, তিনিও নতুন। আরিয়ান ভাই আমার পছন্দের পরিচালকদের একজন। তাঁর সঙ্গে কাজ করলে শিল্পীদের জন্য চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়।
নাজনীন নীহা : হ্যাঁ। আগেই শুরু হয়েছে। বড় বাজেটের নাটক। কিন্তু এ কাজটি সম্পর্কেও বিস্তারিত বলা মানা। ছয় দিন শুটিং হয়েছে, আরও পাঁচ দিন বাকি। অনেক আগে থেকেই আমি অপূর্ব ভাইয়ের ভক্ত। বড় ছেলেসহ তাঁর অনেক কাজ দেখেছি। একদিন তাঁর বিপরীতেই নায়িকা হয়ে কাজ করব, ভাবিনি। কাজটি শুরুর আগে নার্ভাস লাগছিল, শুটিংয়ে গিয়েও ভয় কাটছিল না; মনে হচ্ছিল সংলাপ ভুলে যাব। পরে প্রতিটি দৃশ্য করার আগে অপূর্ব ভাই, পরিচালক সুন্দর করে মহড়া করে নিয়ে কাজ করেছেন। অপূর্ব ভাইদের মতো শিল্পীদের কাছ থেকে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছুই শেখার আছে। এই কয়েক দিনে আমিও অনেক শিখেছি।
নাজনীন নীহা : ২০২৩ সালে পবিত্র ঈদুল ফিতরে নাটক দিয়ে আমার অভিষেক। প্রায় দেড় বছরে মাত্র ১০টি নাটকে কাজ করেছি। বেশি বেশি কাজ করতেও চাই না। আমার তৃতীয় নাটক প্রচারের পর একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে ১০টি নাটকের চুক্তি করে। সেই কাজগুলোই করছি। তবে বাইরের দু-একটি নাটকেও কাজ তো করি।
বার্তাধারা:
কেন কম কাজ করতে চান?
নাজনীন নীহা : আমি মনে করি, এখনো ভালো অভিনয় পারি না। এটা বুঝি, অনেকে চান আমি বেশি বেশি কাজ করি; এমনকি আমার দর্শকেরাও। কিন্তু টানা কাজ করতে গিয়ে মানের সঙ্গে আপস করতে চাই না। একটি কাজ হাতে নিয়ে প্রস্তুত হয়ে, চরিত্রের মধ্যে ঢুকে তারপর শুটিংয়ে যেতে চাই। প্রতিটি কাজের আগে প্রস্তুতির জন্য বিরতি নিতে চাই। এভাবে আরও বছরখানেক কাজ করে নিজেকে শিল্পী হিসেবে পোক্ত করতে চাই। তারপর কাজের পরিমাণ বাড়তে পারে।
বার্তাধারা :
আপনার অভিনীত ‘অবুঝ পাখি’ নাটকটি বেশ পছন্দ করেছেন দর্শক…
নাজনীন নীহা : নাটকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি নিয়ে। ইয়াশ রোহান একজন ছাত্রনেতা, আমি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তাঁর প্রেমিকা। এ ধরনের চরিত্র আগে করিনি। তা ছাড়া ইয়াশ রোহানের সঙ্গে প্রথম জুটি। সব মিলিয়ে নাটকটিতে নতুনত্ব আছে। এ জন্যই দর্শকের হয়তো বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
বার্তাধারা:
সিনেমা করবেন না?
নাজনীন নীহা : গত এক বছরে সিনেমা করার জন্য অনেক ফোন পেয়েছি। কিন্তু আগ্রহ দেখাইনি। কারণ, এখনই সিনেমা নয়। আপাতত ছোট পর্দা নিয়েই থাকতে চাই। যখন মনে হবে, এখন সিনেমা করা উচিত, তখন করব।