আগামী ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৬১তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের ঐদিনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে তাকেও হত্যা করে। তখন তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।শহিদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধসম্পন্ন মানুষদের কাছে পরম আদরের নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ এমন এক সময়ে শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন সমাগত যখন সমগ্র বাংলাদেশ অবরুদ্ধ। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর খুনি-ঘাতক চক্র রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার রোধে ইনডেমনিটি দেয়। ঠিক একইভাবে আজ দেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে সুপরিকল্পিত নীলনকশা বাস্তবায়নের সময় ও পরে পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ নির্বিচারে গণহত্যা সংঘটনকারীদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পুনরায় দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল মতাদর্শ ধারণের কারণে একটি জনগোষ্ঠীকে বাছ-বিচারহীনভাবে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির অপসংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। যা কোনো মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষের নিকট প্রত্যাশিত নয়। দেশের বিবেকবান সকল মানুষের প্রত্যাশা, সুশাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সকল নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। শহিদ রাসেলের নিষ্পাপ ও নিষ্কলুষ মুখাবয়ব সকল মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার অনবরত সংগ্রামে পথচলার অনুপ্রেরণা।
এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামী ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষে যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধানিবেদনের পাশাপাশি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ কর্মসূচি পালনের জন্য দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।