অভিমন্যু ফয়েজী
আইজকাল বঙ্গদ্যাশে সবতেয় বিশাল বিশাল বক্তিমা দ্যায়। দ্যাশটা বড় স্বাধীন এহন। যার ইচ্ছা হ্যায়ই কতা কয়। তয় কতা হকলই এক তানের অইতে অবে; মাইনে আম্লীগরে ধুইয়া হেলতে অবে; এর বাইরে কিছু কওন যাইবোনা; হক্কল বক্তিমাই তেইল্যা মাতাত্ তেল দেওনের লাইনে অওয়া লাকপে। এ্যাই কিসিমের এক খান্ কেইস দেখলাম খপরে। এট্টু বয়ান করা যাইক।
আইজ চাঁটিগা’র অইল্যা সাব জব্বর কতা কইছুইন। তাইন আম্লীগরে নিষিদ্ধ করতে বলছেন তাঁর তেল ঢালার নয়া মাথা ডঃ ইউনুসরে। হায় রে অইল্যা! কত্ত বড় বড় মাইনষে কত সময় আম্লীগরে শ্যাষ করতে চাইলে ইতিহাস হেইয়ার সাক্ষী আছে; কিন্তু আম্লীগ ঠিকওই উইঠা খাড়াইছে সব ঝড়ের পরেও; আর অহন এই তানের এক কাডি পাবলিকের কতা হুইন্না নুচ কাক্কু এই দলরে করবো নিষিদ্ধ! কী কারন? তাইনের কতা অনুযায়ী, আম্লীগ বহুত মাইনষেরে মারছে, তাই। ভালা কতা। তা সাতাইত্তর সালে অইল্যা স্যার মিলিটারিত আছিল্। হেই সময় নাহি পেরায় দুই হাজার বিমানের লোকজন মাইরা ফেলান হইছিল্; কারন, হ্যারা সরকার হঠাইতে চাইছিল্। অইল্যারে কেউ কোনদিন হুনছেনি এর বিরুদ্ধে একখান্ কতা কইতে? হুনে নাই। কারন, তাইন বহুত সুবিধা পাইছিলেন্ হেই সময়ের বিশাল জেনারেলের কাছত্। বর্তমানে অইল্যার ওয়ান ম্যান পার্টি এদিক হেদিক কইরা সুবিধা কইতারছেনা গত পেরায় কুড়ি বছর। আম্লীগের জোটেও ভিড়ছিলো; সুবিধা অয় নাই। হাসিনা এ্যারারে চিনতেন; কাজেই ধারে কাছে আইতে দ্যান নাই। হেই রাগত্ অইল্যা বহুত না ফরমানি কামে নামছিলো আম্লীগের বিরুদ্ধে; আর অহনতো হ্যার ত্যাল রাহনের পাত্র চেন্জ অইছে। হাসিনারে গাইল দিয়া যদি কিছু পাওন যায় ক্ষতি কী? নুচ কাক্কু হাসিনারে গাইল পাড়া লোকজনরে লাইক করুইন; ইয়ার উপরে অইল্যা তাইনের দ্যাশের বাড়ীর লোক; হেই কারনেই অইল্যার লাফঝাঁপ এককানা বেশী মনে লয়। কান্ড দেইহ্যা আমার বিচ্ছু ভাইস্তা কালাইম্যা কইলো, কাহা, আমরার মনে লয়, “হাতি ঘোড়া গেলো তল, মশক বলে কত জল”। আমি অশিক্ষিত্ মানিষ। হ্যায় যে কিতা কইলো বুঝবার পারি নাই।
তয় এইটা বুইঝলাম যে, আম্লীগরে হটাইতে হারলে মশকদেরও চান্স বাড়ে। কতা সইত্য। অইল্যার লাহান পাবলিকও এই হনু যুগে মনে হরে, “মুই কুন হনু রে”। কী আর করা! বঙ্গদ্যাশে হনু যুগ শুরু হইছে হাসিনারে হটাইয়া। তাইনের সুমায়ও কিছু কিছু হনু আছিল্; হেরার কারনে আফা বোঝেন নাই কই যাইতে আছিলেন। এই আমলে হনুরাই ক্ষ্যামতায়; ক্ষ্যামতার ভিত্রে বাইরে সব্বাই নিজেগো হনু পরমান করার লাইগ্যা জীবন দিয়া দিতে আছে। দুই শিশু উজির আর হ্যারার এক গুরু সুবিধাবাদী মিল্যা হনু বিষয়ক চর্চারে মুটামুটি শিল্পের লাহান কইরালছে; এহন অইল্যা চুপ থাহে ক্যামতে? হ্যারওতো এট্টু হনুগিরি করনের সখ অইতে হারে; ইয়ার লাইগ্যাই হ্যার চ্যাত এট্টু বেশী এহন।
অইল্যা ছোট্ট এক খান্ পিস্; কিন্তুক হ্যাতার কতা হুনলে মনে লয়, জগতে রাজনীতির ব্যাক জিনিস হেতে বোঝে; আর কেউ বোঝেনা। এই পিস্ পরমান করছে, মুক্তিযুদ্ধা ব্যাক সুমায় মুক্তিযুদ্ধা না যদিও রেজাকার ব্যাক সুমায়ই রাজাকার। হ্যাতে বঙ্গবন্ধুর সরকারের অধীনত্ তার গুরুরে লইয়া যুদ্ধ খিঁছাইছিল্; আর ফরে বঙ্গবন্ধুরেই ফালাইয়া দিছুইন। আসলে হ্যায় রেজাকারই আছিল্ ভিত্রে ভিত্রে; মুক্তিযুদ্ধা হইছিল্ জিয়ার কারনে; আবার রেজাকারও হইছিল্ জিয়ার কারনে। অইল্যার নিজের কোন বুঝ বুদ্ধি বা আদর্শ বইল্যা কিছু আছিল্ না কুনো সুমায়; হ্যাতে সুবিধা পাইলেই খুশী আছিল্; সুবিধা না পাইলে হ্যার মাতা ঠিক থাহেনা; এইটাই হ্যার টেরনিং। সুবিধা মনমত অয় নাই বইলা বিএনপি ছাডছিল্; আবার সুবিধা পায় নাই বইলা মহাজোট ছাড়ছিল্; এহন আবার সুবিধার আশায় নোবেল কাক্কুর তেইল্যা মাতাত্ আরো ত্যাল দিতে আছে। ফলাফল কী অইবে তা আমরা দেখুম নে আর কদ্দিন পর।
তয় সইত্য অইলো এই যে, ঝড় ঝাপটার পরেও বড় গাছগুলা টিক্কা যায়, কিন্তুক আগাছা আর লতাপাতা ধ্বংস অইয়া যায়। মশক জলের তল না বুইঝঝাই মাইপ্পা ফেলায়, কিন্তুক হাতি ঘোড়া এইয়া করতে সময় লয়। বঙ্গদ্যাশের রাজনীতিতে অইল্যা আগাছার লাহান; ইয়ার লাইগ্যাই হেয় আম্লীগরে নিষিদ্ধ করতে কয়, আর সরকার এমন ধারনা বাতিল করে।
মশকের আরো সময় দরকার তলে জলের আন্দাজ পাওনের জইন্য। অইল্যার লাইগ্গা আমরার শুভ কামনা রইলে।