এ নিয়ে অনেকের মতো সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী জেড আই পান্না প্রশ্ন তুলেছেন,
এই প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টার নিয়োগ কর্তা কে? অর্থাৎ ওনারা কিভাবে নিয়োগ পেলেন?
প্রধান উপদেষ্টা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ছাত্ররা ওনাদের নিয়োগ দিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হল এই ছাত্ররা মূল জনতার কত পার্সেন্ট রিপ্রেজেন্ট করেন?
বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের বৈধতা নিয়ে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের কোথাও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা বলা নেই।
সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ বলে “ডকট্রিন অব নেসাসিটি” অনুযায়ী অন্তর্বতী সরকার গঠন করা যেতে পারে।
এই “ডকট্রিন অব নেসাসিটি” তখনই কার্যকরী হবে যখন প্রধানমন্ত্রীর পদ শুন্য হয়ে যাবে;
যদি ৫৭ ধারায় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন,
যদি তিনি যদি সংসদ সদস্য না থাকেন,
অথবা যদি তিনি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন হারান।
এই তিনটির কোনটা ঘটেছে বলে জানা নেই।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সহ এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আশফাকুল ইসলাম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেনের বেঞ্চ পরামর্শ দেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে পারেন, কারণ এখন সংসদ নেই এবং প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।
এখন প্রশ্ন হল প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন তা কিভাবে তিনি নিশ্চিত হলেন?
সংবিধান ৫৭ অনুচ্ছেদে, বলা আছে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিবেন রাষ্ট্রপতির কাছে।
প্রধানমন্ত্রী কি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন?
বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর প্রধানের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর প্রধান পদত্যাগপত্র নেওয়ার মানে কি??? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইলো??
রেজিস্ট্রার জেনারেল আরও বলেছেন,’সংবিধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কোনো বিধান নেই।
প্রশ্ন হল, বিধান না থাকা সত্ত্বেও সরকার প্রধানের পদত্যাগপত্র হাতে না পাওয়া সত্ত্বেও কিভাবে আরেকটা সরকার প্রধানের শপথ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন?
রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়ে রেফারেন্স পাঠিয়েছেন।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রেফারেন্স পাঠিয়ে থাকলে সেই ডকুমেন্টস কোথায়?
৮, আগষ্ট ২০২৪ সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
এখন প্রশ্ন হল, সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্টার সাহেব এটা স্পষ্ট করেননি যে, রাষ্ট্রপতিকে মতামত জানাতে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বেঞ্চে সশরীরে নাকি ভার্চুয়ালি বসেছিলেন?
বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে এইসব প্রশ্নের আশু সুরাহা প্রয়োজন।
মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭১ আমাদের অস্তিত্ব, অসাম্প্রদায়িক বাঙালিত্ব আমাদের পরিচয়;
ধর্ম, বর্ণ, বাউল, ফকির, সুফি, মোল্লা, মুনি, ঋষি, ভিক্ষু, যোগী, পাদ্রী
সকল ধরনের মানুষের বৈচিত্র নিয়েই আবহমান কাল থেকে আমাদের শঙ্কর জাতি আর মিশ্র পরিচয়।
এটাই আমাদের সৌন্দর্য।
বিপ্লবের দোহাই দিয়ে আর কতো সংস্কৃতির উপর আঘাত?
আর কতো শিল্পকারখানা ধ্বংস?
আর কতো জান মাল ও দেশের সম্পদের উপর আক্রমণ?
দেশে আর কতো ধর্মীয় স্বৈরতন্ত্রের নামে নারী নির্যাতন চলবে ?
আর কত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ চলবে?
ফরিদ আহমেদ ইমন
সম্পাদক ,বার্তাধারা।
ও
সদস্য, ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।