ফরিদ আহমেদ ইমন
সম্পাদক: বার্তাধারা।
গায়ে বসন্ত বাতাস। সাজাপ্রাপ্ত দাগী আসামী, নিষিদ্ধ পত্রিকা আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। দখলদার উপদেষ্টা সরকারের করুণায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি আগামী ৭ দিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।
অথচ এই নিষিদ্ধের দাবী হওয়া উচিত ছিল ছাত্র শিবিরকে। কারণ সাম্প্রতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ম ছাত্র আন্দোলনে জুলাই-আগষ্ট মাসে ৭.৬২ এমএম এ গুলিবিদ্ধ হয়ে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার সবগুলোই ঘটিয়েছে এ জঙ্গি সংগঠন ছাত্র শিবির।
৫ আগষ্টের পর যত অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নির্যাতন, হত্যা, বিনা কারণে আওয়ামীলীগের নেতাদের গণহারে গ্রেফতার এবং তাঁদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট এবং আগুন দিয়ে জ্বালানো হয়েছে, সেসব করেছে যৌথভাবে বিএনপি ও জামাতের অঙ্গসংগঠনগুলো।
তাদের এ জঘন্য কর্মকান্ড এখনো অব্যাহত রয়েছে। ছাত্রলীগে সুঁই হয়ে ঢুকে কুড়াল হয়ে বের হওয়া এ বেঈমান শিবির সকল ধরনের আইন বিরোধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। ‘৭১ এর দালাল যুদ্ধাপরাধী জামাত ও শিবির যতদিন বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা চালাবে বাংলাদেশে ততদিন শান্তি আসবেনা।
মাহমুদুর রহমান কি ছাত্রলীগের ইতিহাস জানেন? জানেন না। ছাত্রলীগের ইতিহাস আন্দালন-সংগ্রামের ইতিহাস। ছাত্রলীগের ইতিহাস মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের ইতিহাস। বাংলাদেশ জন্মের সাথে ছাত্রলীগের ইতিহাস জড়িত। ছাত্রলীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লিখা যায় না। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস পড়েন। আপনার ছাত্রলীগের ইতিহাস পড়া হয়ে যাবে। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস পড়েন। ছাত্রলীগের ইতিহাস আপনার পড়া হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্রলীগ অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। ছাত্রলীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোন ইতিহাস নেই। ছাত্রলীগ বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। উপমহাদেশের এই প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন ইতিহাসের পাতায় পাতায় তাঁদের গৌরবময় অবদানের জন্য অমর হয়ে আছে।
মাহমুদুর রহমান সাহেব আপনি উত্তরা ষড়যন্ত্রের নায়ক। দেশবাসী আপনাকে ভুলে নাই। ছাত্রজীবনে ছিলেন মুসলিম লীগের কর্মী। মুক্তিযুদ্ধে আপনার ভূমিকা সবাই জানে। আমেরিকার দালাল ইউনুস সরকার ও সেনাবাহিনীর বদান্যতায় মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিকে উদযাপন করুন। যতটুকু পারেন মুখ বন্ধ রাখুন। এ দেশ ষড়ঋতুর দেশ। ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। রং ধরে কখন কি হয়ে যায় বলা যায় না।
ফরিদ আহমেদ ইমন
সম্পাদক ,বার্তাধারা।
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.